ল্যাপটপ কেনার আগে জেনে নিন
ল্যাপটপের জনপ্রিয়তার মূল কারণ হল এর কর্মক্ষমতা ও বহনযোগ্যতা। বাজারে এখন অনেক ব্যান্ডের এবং অনেক কনফিগারেশনের ল্যাপটপ রয়েছে। তার মধ্যে থেকে আপনার পছন্দমত ল্যাপটপ বাছতে হলে আপনাকে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
আকারঃ
আকার ল্যাপটপের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত নোটবুক বা আলট্রাবুক বহন করতে সহজ হলেও এর ফিচার কম কিন্তু যেসব ল্যাপটপ একটা ডেস্কটপকে স্থানান্তর করতে পারে তারা একটু আকারে বড় হয় যা বহন করতে কষ্ট। তাই এক্ষেত্রে দোকানে গিয়ে ভালমত যাচাই বাচাই করা উচিত আর সাথে এক্সেসরিজগুলার ওজন দেখে নেয়া ভালো।
প্রসেসরঃ
ল্যাপটপের প্রসেসর ডেস্কটপ থেকে তুলনামুলকভাবে ধীরগতি সম্পন্ন হলেও চাহিদা পূরণ যোগ্য। বর্তমানে সাধারনত দোকানে duel core -corei7 পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাজেটের দিকে খেয়াল করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
র্যামঃ
ডেস্কটপের মত ল্যাপটপেও র্যাম বাজারে সব থেকে আপডেট যা আছে টার কাছাকাছি কেনা উচিত। সাধারণত core i3 অথবা corei5 এর সাথে 4GB এর নিচে না যাওয়াই ভালো।
ডিসপ্লে এবং ভিডিওঃ
সাধারণত ডিসপ্লে বড় হলে রেজুলেশন ভালো হয় কিন্তু এইখানে বহনযোগ্যটার একটা ব্যাপার আছে। আপনার ল্যাপটপের ডিসপ্লে যত বড় হবে তার ভর তত বেড়ে যাবে। তাই বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।অনেক সময় দেখা যায় রেজুলেশন কম হলে হলে অনেক অ্যাপ্লিকেশনের টেক্সট পড়া যায় না।
ডাটা স্টোরেজঃ
এটা সম্পূর্ণভাবে বাবহারের উপর নির্ভর করে।বিভিন্ন ল্যাপ্টপের ডাটা স্টোরেজ বিভিন্ন রকম।কিন্তু আপনি এটা চাইলেই বৃদ্ধি করতে পারবেন না। তাই আপনার প্রয়োজন এবং সাধ্য মত একটি পছন্দ করুন। কিন্তু বর্তমানে 500 GB এর নিচে নেয়া উচিত নয়।
নেটওয়ার্কিং:
বর্তমানের ল্যাপটপগুলোতে Bluetooth,WiFi,LAN ইত্যাদি নেটওয়ার্কিং সিস্টেম থাকে। আপনার পছন্দের ল্যাপটপ বাছাই করার সময় অবশ্যই জেনে নিন যে আপনার ল্যাপটপের উপরের সকল নেটওয়ার্কিং সিস্টেম আছে কিনা।
ওজন:
আপনার ল্যাপটপটির ভর একটি গুরুতপূর্ন ভুমিকা পালন করবে এর বহনজোগ্যতার উপর। সবাই চায় যেন এর তার ল্যাপটপটি খুব সহজে বহন করা যায়। বর্তমানের উল্টাবুকের ভর খুব কম হয়ে থাকে কিন্তু এর পার্ফরমেন্স তুলনামূলক একটু কম হয়ে থাকে।তাই খুব ভেবে সিদ্ধান্ত নিন
কোন মন্তব্য নেই