Header Ads

চার্লি চ্যাপলিন

 



পরনে জরাজীর্ণ কোট-টাই, ঢিলেঢালা মলিন প্যান্ট, মাথায় কালো রঙের ডার্বি হ্যাট, হাতে একটি ছড়ি, পায়ে পুরোনো এক জোড়া বুট এবং ঠোঁটের উপর খাটো অথচ প্রশস্ত একটুখানি টুথব্রাশ গোঁফ – এই লোকটাকে কে না চেনে! তিনি আর কেউ নন, আমাদের সকলের প্রিয় মূকাভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন। এক শতাব্দী পূর্বে তার অমর কাজগুলো  আজও আমাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলে। বিশ্বের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ও সবচেয়ে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিদের তালিকা করা হলে নিঃসন্দেহে চার্লি চ্যাপলিনের নাম একদম উপরের দিকেই থাকবে। 

চার্লি চ্যাপলিনের প্রকৃত নাম ‘চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন’। যদিও তাকে বিশ্বব্যাপী ‘শার্লট’, ’কার্লিটোস’, ‘দ্য লিটল ট্র্যাম্প (ভবঘুরে)’ ইত্যাদি নামেও ডাকা হয় ধারণা করা হয়, তিনি ১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল লন্ডনের ওয়ালউওর্থে জন্মগ্রহণ করেন। অবশ্য তার মৃত্যুর অনেক পর ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি যে, চার্লি চ্যাপলিন ব্রিটেনেই জন্মগ্রহণ করেছেন। তার জন্মস্থান, এমনকি ফ্রান্সও হতে পারে বলে অনুমান করা হয়! আবার, ২০১১ সালে উদ্ধারকৃত একটি পুরোনো চিঠিতে পাওয়া তথ্যমতে, ইংল্যান্ডের স্ট্যাফোর্ডশায়ারের একটি ক্যারাভ্যানে তিনি ভূমিষ্ঠ হন।

চার্লি চ্যাপলিন এর প্রথম রোজগার ছিলো মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। যখন তার মা একদিন টাউন হলে গান গাওয়ার সময় গলায় সমস্যা দেখা দেয় ও আওয়াজ বেরহচ্ছিলনা দর্শকরা তখন বিরক্ত হয়ে চিৎকার চেচামেচি করেন ও চ্যাপলিনের মাকে মারতে উদ্দতে হন।ছোট চ্যাপলিন তখন মায়ের বিপদ দেখে স্টেজে উঠে আসেন এবং তার মায়ের গাওয়া গান অভিনয়ের সাথে গাইতে শুরু করেন দর্শকদের তার এই আধো আধো কণ্ঠে গাওয়া গান খুব উপভোগ করেন স্টেজে পয়সার বৃষ্টি শুরু হয়।বাস্তব জীবনের তাদের গরিব হওয়ার কষ্টও যে অন্যকে স্টেজে আনন্দ দেয় ফানি মনে হয় সেটা তিনি হয়তো তখনি এই ঘটনাতেই বুঝে গেয়েছিলেন। তাইতো পরবর্তীতে তার অভিনয়ে মাধ্যমে তিনি গরীবতা, দুঃখ, কষ্ট, একাকীত্ব, বেকারত্বে মতো ঘটনা অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন লোককে আনন্দ দেয়ার জন্য।

কষ্ট ও দারিদ্রতায় পরিপূর্ণ ছিলো চার্লি চ্যাপলিনের শৈশব জীবন মাত্র ছয় বছর বয়সে চার্লির বাবা ও মায়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তখন চার্লি ও তার ভাইকে নিয়ে চার্লির মাকে অনাথ আশ্রমে আশ্রয় নিতে হয়েছিলো কারণ তখন চার্লির মায়ের কোনো উপার্জন ছিলনা। দরিদ্রতার দুঃচিন্তায় চার্লির মা কিছুদিনের মধ্যেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পাগল হয়ে পাগলা গারদে চলে যায়।তখন আদালতের নির্দেশে চার্লি ও তার ভাইকে তার বাবার কাছে থাকতে হতো। চার্লির বাবা তখন আবারো বিবাহ করেছিলেম সৎমায়ের সংসারে তাই চার্লি ভাইদের কষ্টের কোন কমতি ছিলনা। এক বছর পরে চার্লির মা ভালো হয়ে ফিরে আসলে তাদের জীবনে আবার প্রাণ ফিরে আসে।

পড়াশোনায় বিশেষ মনোযোগ চার্লির ছিলনা তিনি অভিনয়কেই তার জীবনের লক্ষ হিসেবে মনে স্থান দিয়েছিলেন। দশ বছরের ও কম বয়স থেকে চার্লি স্টেজশো করতেন ও সাথে অন্য কাজ করতেন উপার্জনের উদ্দের্শে। তার লক্ষ যেহেতু ছিল অভিনেতা হওয়ার তাই তিনি নিয়মিত ব্ল্যাক মুর থিয়েটার এ যেতেন অভিনয় দেখতে।চার্লি একদিন যখন স্টেজশো করছিলেন তখন একজন থিয়েটার পরিচালকের নজরে আসেন। চার্লির অভিনয়ের বিষয়বস্তু ও বাস্তবিক রূপায়ণের দক্ষতা তাকে মুগ্ধ করে। সেই পরিচালকের মাধ্যমে চার্লির পরিচয় বিখ্যাত পরিচালনা ই হ্যামিলটন এর সাথে হয়। ই হ্যামিলটন তাকে শার্লক হোমস এ অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব রাখেন। শার্লক হোমস সিরিজ এ অভিনয় করে চার্লি খুব পরিচিতি লাভ করে।

১৯১৩ সালে আমেরিকার নামকরা সিনেমা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান New York Motion Pictures চার্লির সাথে চুক্তি করে। তার পরের বছর ১৯১৪ মুক্তিপায় চার্লি চ্যাপলিনের একক সিনেমা Making A Living, দর্শক মহলে তার অভিনয়ের মুগ্ধতায় পরবর্তীতে আরো অনেক সিনেমায় কাজ করেন।১৯১৪ সালেই চার্লি প্রথম পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তার প্রথম পরিচালিত ও পরিচালনার সাথে অভিনীত প্রথম সিনেমা হলো Caught in the Rain যা তাকে খুবই জনপ্রিয়তা প্রদান করে এবং তার জীবনের গতিপথ বদলে দেয়। একজন অভিনেতা থেকে বিশ্বের জনপ্রিয় অভিনেতা হয়েযান নিষ্ঠাবান অভিনয়ের জন্য।বিশ্বের কঠিনতম সয়ম এর মধ্যে প্রবাহিত তার জীবন বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা ও মানুষের কষ্টকে হাসির মাধ্যমে এমন ভাবে ফুটিয়ে তুলতেন যে তার অভিনয় দেখা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ ক্ষনিকের জন্য তাদের দুঃখ কষ্ট ও উপবাসের কথা ভুলে না হেসে থাকতে পারেনি।

নির্বাক চলচ্চিত্র যুগের অন্যতম মৌলিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব চ্যাপলিন নিজের ছবিতে নিজেই অভিনয় করতেন, এবং চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা, পরিচালনা, প্রযোজনা এমনকি সঙ্গীত পরিচালনাও করতেন। তিনি তার সকল চলচ্চিত্র ত্রুটিমুক্ত রাখার চেষ্টা করতেন এবং তার আর্থিক স্বাধীনতার কারণে তিনি একটি চলচ্চিত্রের গল্পের বিকাশ ও চলচ্চিত্র নির্মাণে অধিক সময় ব্যয় করতে পারতেন। তার চলচ্চিত্রগুলোতে বৈরিতার সাথে দ্য ট্রাম্পের সংগ্রামের করুণ রসের সাথে স্ল্যাপস্টিক হাস্যরস বিদ্যমান ছিল। কয়েকটি চলচ্চিত্রে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তু ছিল এবং কয়েকটিতে আত্মজীবনীমূলক উপাদান ছিল। চ্যাপলিন তার কাজের পুনঃস্বীকৃতি পেলে "এই শতাব্দীর চলচ্চিত্রকে শিল্প রূপে দাঁড় করানোর পিছনে তাঁর অপরিমেয় প্রভাবের জন্য" তাকে ১৯৭২ সালে একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার প্রদান করা হয়। শিল্পকলায় অবদানের জন্য তাকে ফ্রান্স সরকার ১৯৭১ সালে লেজিওঁ দনরের কমান্ডার ও রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯৭৫ সালে নাইটহুডে ভূষিত করেন। মৃত্যুর পরও চ্যাপলিন তার নির্মিত দ্য গোল্ড রাশ, সিটি লাইট্‌স, মডার্ন টাইমস ও দ্য গ্রেট ডিক্টেটর চলচ্চিত্র দিয়ে অমর হয়ে আছেন। এই চলচ্চিত্রগুলোকে প্রায়ই মার্কিন চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরা তালিকায় স্থান করে নিতে দেখা যায়।

১৯৪০ এর দশকে চ্যাপলিন তার কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনে বিতর্কের মুখোমুখি হন। এই বিতর্ক তার ভাগ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। প্রথমত তিনি তার রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশের সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য বিতর্কিত হন। তিনি ১৯৩০ এর দশকে বিশ্ব রাজনীতিতে সেনাশাসিত জাতীয়তাবোধে বিরক্ত ছিলেন, এবং ভাবেন এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।তার ও আডলফ হিটলারের মধ্যে কিছু সাদৃশ্য ছিল। বিশ্বব্যাপী সকলে এই বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত ছিল। এমনকি এই দুজন মাত্র চারদিনের ব্যবধানে জন্মগ্রহণ করেন, দুজনেই দারিদ্রতার কষাঘাতে বেড়ে ওঠেন ও সারাবিশ্বে প্রসিদ্ধি লাভ করেন, এবং দুজনের একই ধরনের টুথব্রাশ গোঁফ ছিল। এই শারীরিক সদৃশ্য চ্যাপলিনকে তার পরবর্তী চলচ্চিত্রের গল্প রচনায় সাহায্য করে। তার এই চলচ্চিত্র দ্য গ্রেট ডিক্টেটর-এ তিনি সরাসরি হিটলারকে ব্যঙ্গ করেন এবং ফ্যাসিবাদকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেন।

এই চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি রচনা করতে চ্যাপলিনের দুই বছর সময় লাগে,এবং তিনি ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ছয় দিন পর এই চলচ্চিত্রের চিত্রায়ন শুরু করেন। তিনি অবশেষে তার চলচ্চিত্রে সংলাপের ব্যবহার না করে পারলেন না, কারণ তার আর কোন উপায় ছিল না, পাশাপাশি তিনি বুঝতে পারেন যে রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে এটি অপেক্ষাকৃত ভাল পদ্ধতি। হিটলারকে নিয়ে হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র নির্মাণ খুবই বিতর্কিত হয়, কিন্তু চ্যাপলিন তার আর্থিক স্বাধীনতার কারণে এই ঝুঁকি গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি লিখেন যে, "আমি এগিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম, যাতে হিটলারকে হেয় করে দেখা হয়। চ্যাপলিন দ্য ট্রাম্পকে একই পোশাকে রেখে একজন ইহুদি নাপিত রূপে উপস্থাপন করেন। দ্বৈত চরিত্রের অপর একটি চরিত্রে তিনি "অ্যাডিনয়েড হিঙ্কেল" ভূমিকায় অভিনয় করেন, যাকে হিটলারের ব্যঙ্গরূপ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।

দ্য গ্রেট ডিক্টেটর নির্মাণে সময় লাগে এক বছর এবং এটি ১৯৪০ সালের অক্টোবরে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি ব্যাপক প্রচারণা লাভ করে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের একজন সমালোচক এটিকে "বছরের সবচেয়ে প্রত্যাশিত চলচ্চিত্র" বলে উল্লেখ করেন এবং এটি এই যুগের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে। ছবিটির শেষ দৃশ্য দর্শক প্রিয়তা লাভ করেনি এবং বিতর্কের জন্ম দেয়। চ্যাপলিন পাঁচ মিনিটের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে ছবিটি শেষ করেন যেখানে তিনি তার নাপিত চরিত্র ত্যাগ করেন এবং সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে যুদ্ধ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সমর্থন জানান। চার্লস জে. মাল্যান্ড তার রাজনৈতিক মতাদর্শের এই প্রকাশ্য প্রচারকে তার জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ বলে উল্লেখ করেন এবং লিখেন, "এরপর থেকে কোন চলচ্চিত্র ভক্ত তাঁর তারকা খ্যাতি থেকে রাজনৈতিক আদর্শকে পৃথক করতে পারবে না। দ্য গ্রেট ডিক্টেটর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ মৌলিক চিত্রনাট্য এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতাসহ পাঁচটি বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে।

চ্যাপলিন মনে করতেন তার মা তাকে প্রথম অভিনয়ে প্রভাবিত করেছিলেন। তিনি যখন শিশু ছিলেন তার মা জানালার পাশে বসে তাকে পথচারীদের অনুকরণ করে দেখাতেন। চ্যাপলিন তার আত্মজীবনীতে লিখেন, "তাকে দেখে আমি হাত ও মুখ দিয়ে আবেগ প্রকাশ করতে শিখেছি, পাশাপাশি কীভাবে মানুষকে পর্যবেক্ষণ ও অধ্যয়ন করা যায় তাও শিখেছি।"চ্যাপলিন তার প্রথম জীবনে গীতিমঞ্চে বিভিন্ন কৌতুকাভিনেতাদের কাজ করতে দেখেছেন। তিনি ড্রুরি লেনে ক্রিসমাস পান্তোমিমেতেও যান এবং সেখানে তিনি ড্যান লেনোর মতো অভিনেতাদের কাছ থেকে সঙ শিল্পের পাঠ লাভ করেন। চ্যাপলিনের একজন অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়ার পিছনে ফ্রেড কার্নো কোম্পানিতে কাজ করার বছরগুলোর বিস্তর প্রভাব ছিল। সিমন লুভিশ লিখেছেন যে কোম্পানিটি তার "প্রশিক্ষণ স্থল" ছিল,এবং এখানেই চ্যাপলিন তার হাস্যরসের গতির পরিবর্তন করতে শিখেছিলেন।তিনি স্ল্যাপস্টিক হাস্যরসের সাথে করুণ রস মিশ্রণের ধারণা কার্নোর কাছ থেকে শিখেছেন। কার্নো বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরতেন, যা চ্যাপলিনের ঠাট্টা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। চলচ্চিত্র শিল্প থেকে, চ্যাপলিন ফরাসি কৌতুকাভিনেতা মাক্‌স লেঁদেরের কাজ থেকে অনুপ্রাণিত হন। তিনি লেঁদেরের চলচ্চিত্রগুলোর প্রশংসা করতেন।দ্য ট্রাম্প চরিত্রের পোশাক এবং ব্যক্তিত্ব সৃষ্টির ক্ষেত্রে তিনি সম্ভবত মার্কিন ভডেভিলের দৃশ্যাবলী থেকে অনুপ্রাণিত হয়, যেখানে এই ধরনের চরিত্র অহরহ দেখা যেত।

১৯৭৭ সালের অক্টোবরে চ্যাপলিনের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে এবং তার নিয়মিত পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। তিনি ১৯৭৭ সালের ২৫শে ডিসেম্বর ভোরে ঘুমের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ২৭শে ডিসেম্বর তার ইচ্ছা অনুযায়ী তার শেষকৃত্য ছিল ছোট ও ব্যক্তিগত অ্যাঞ্জেলিক আয়োজন।চ্যাপলিনকে কর্সিয়ের-সুর-ভেভি সমাধিতে সমাধিস্ত করা হয়।১৯৭৮ সালের ১লা মার্চ দুজন বেকার অভিবাসী চ্যাপলিনের সমাধি খুঁড়ে কফিন চুরি করে। তারা হলেন পোল্যান্ডের রোমান ওয়ার্ডাস ও বুলগেরিয়ার গাঞ্চো গানেভ। কফিনটি জব্দ করে চ্যাপলিনের স্ত্রী উনা চ্যাপলিনের কাছে মুক্তিপণ দাবী করা হয়। মে মাসে এক পুলিশি তদন্তে এই অপরাধীরা ধরা পড়ে এবং সুইজারল্যান্ডের নভিলে গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠে পুঁতা অবস্থায় পাওয়া যায়। কফিনটি পুনরায় কর্সিয়ের সমাধিতে সমাধিস্ত করা হয় এবং চারপাশে কংক্রিটের বেড়া দেওয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.